রহমত টোয়েন্টিফোর ডটকম 14 December, 2020 09:50 AM
দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নিতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে ফজরের নামাজে অংশ নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। সময় যত গড়ায়, মানুষের উপস্থিতি তত বাড়তে থাকে। ভোরেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় বায়তুল মোকাররম এলাকা। পরে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আল্লামা কাসেমীর মাওলানা জাবের কাসেমীর ইমামতিতে জাযাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে বায়তুল মোকাররমের আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, স্মরণকালের বৃহৎ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজায় দারুল উলুম দেওবন্দের শুরা সদস্য মাওলানা শফিকুল ইসলাম, আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, বেফাক সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, জমিয়ত সভাপতি শায়খ জিয়া উদ্দিন সিলেট, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা নাজমুল হাসান বারিধারা, মাওলানা মাহফুজুল হক রাহমানিয়া, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিল ও আল্লামা কাসেমীর ছোটভাই মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস প্রমূখ-সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও রাজনীতিবিদরা অংশ নেন ।
জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ান করেন নিজের গড়া দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া বারিধারার পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসান, নিজ দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা জিয়াউদ্দিন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমঈরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কওমঈ শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও আল-হাইআর পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলাণা মাহমুদুল হাসান ও পরিবারের পক্ষ থেকে আল্লামা কাসেমীর ছোট ভাই মাওলানা আবদুল কুদ্দুস। তারা আল্লামা কাসেমীর স্মৃতিচারণ করে তাঁর কর্মবহুল জীবনের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী গত ১ ডিসেম্বর ঠাণ্ডাজনিত কারণে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। সন্দেহ থেকে পরীক্ষা করানো হয় করোনা। তবে কয়েক দফা পরীক্ষা করে তার করোনা নেগেটিভ আসে।
এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অক্সিজেনের মাত্রা ও রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে প্রথমে হাই ডিপেন্ডসি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেয়া হয়। পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে রাত ৮টায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
পরে (১১ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকালে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনও স্বাভাবিক হয়। কিন্তু দুপুরের পর তার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি ঘটে। এবং গতকাল দুপুর ১টার দিকে তার ইন্তিকাল হয়।